টাইমস প্রোডাক্টিভিটি
নিজের জন্য আলাদা সময়ের প্রাধান্য দেওয়াটাকে আমি বেশ গুরুত্ব দেই। 'মি টাইম' প্রতিটি মানুষের দরকার। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবার, নতুনত্ব আনার জন্য, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভুল-ভ্রান্তি, দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে নিজেকে কাজের ফাঁকে, ব্যস্ততার মাঝেও সময় দেওয়া দরকার। নিজের শারিরীক মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে কতটা যত্নে রাখছি নিজেকে তারউপর। তবেই আত্মিক উন্নতি ফলপ্রসূ হয়। মাঝে মাঝে নিজের ব্যর্থতা গুলো খুঁজে সেগুলোকে মোকাবেলা করা প্রয়োজন। নিজের ভালো-মন্দ, মন খারাপের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে। নিজেকে আলাদা করে একটু সময় দিতে হবে, সময় বের করে নিতে হবে। যার মন সুন্দর, সে অবশ্যই একজন ভালো মানুষ, সুস্থ মানুষ।
মাঝে মাঝে সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা উত্তম। সেসময়টা রবের সান্নিধ্যে কাটানো যেতে পারে। কুরআন তিলাওয়াত বা কুরআনের তাফসীর, বা যেকোনো বই পড়া যেতে পারে। কোনো গঠনমূলক চিন্তা-ভাবনা নিয়ে লেখালেখি করা যেতে পারে। কিংবা এক মগ চা-কফি নিন, বারান্দায় বা জানালার পাশে বসে যান, আকাশের বিশালতা, প্রকৃতির সজীবতা কিংবা রবের সব বিস্ময়কর সৃষ্টি উপভোগ করুন। কষ্ট লাগছে, মন খারাপ; অযু করুন, জায়নামাজ বিছিয়ে নিন, হাত তুলে রবের নিকট মনের সব কষ্ট বলে হালকা হোন। অর্থাৎ পুরো সময়টাই নিজের জন্য তৈরি করে নিন। যখন যেভাবে আপনি প্রস্তুত থাকবেন সেভাবেই।
নিজের একান্ত মুহুর্তগুলোতে নিজেকে কাউন্সেলিং করাটা দরকারী। নিজের উপর নিজের নিভর্রশীলতা তৈরি করতে না পারলে বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিচ, কন্টেন্ট পড়ে কোনো লাভ নেই, দিনশেষে সবাই উপদেশ দিতে পারে কিন্তু তার প্রয়োগ খুব কমই দেখা যায়। যে নিজেকেই বুঝতে পারেনা, তার মোটিভেশনাল স্পিচ কোনো কাজে আসার কথাও না। তাই নিজেকে এক্টিভ করুন, নিজেকে সময় দিন, নিজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ান।
বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ বলেন - "যখন দিনটা খুব বাজে যাবে, এলোমেলো অবস্থা, চাপে-দুশ্চিন্তায় হাঁসফাঁস লাগবে, মনে হবে কোনোকিছু সামলানো যাচ্ছেনা; কিছু সময়ের জন্য নিজেকে তখন সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলো। নিজেকে 'অফ' করে আবার 'অন' করার মতো। বেশিক্ষণের জন্য না, ৫ থেকে ১০ মিনিট নিজেকে সবকিছু থেকে আলাদা করে দেখো, কি অসাধারণ অনুভূতি হয়।"
তাই এই 'অন' আর 'অফ' করার ব্যাপার টা দারুণ এক কোয়ালিটি টাইম হতে পারে নিজের জন্য।
Comments
Post a Comment