আমাদের গল্প।


দু'জন মানুষ দু'প্রান্তে। একজন বাইতুল্লাহ্ তে, আরেকজন বাংলাদেশে। তখন দ্বীনের পথে আমার কেবল মাত্র পথ চলা শুরু। সময় টা ২০১৯ সাল। দ্বীনে ফেরার পর থেকেই সবসময় নিজের হিদায়াতের দু'আ করার পাশাপাশি একজন চক্ষুশীতলকারি, উত্তম, সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনসঙ্গী চাইতাম। যার মাঝে সবকিছুর পরিপূর্ণতা খুঁজে পাব আমি। ঠিক সেই সময়ে সুলাইমান উমরাহ তে ছিলেন, উনার দু'আ তেও একই আকাঙ্ক্ষার বহিপ্রকাশ ছিল। তাওয়াফে, কাবার গিলাফ, রিয়াজুল জান্নাহ্, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজামুবারকে সবখানেই উনার একজন সত্যিকারী চক্ষুশীতলকারিনী প্রকৃত দ্বীনদার আহলিয়ার জন্য দু'আর কমতি ছিল না। হয়ত এজন্যই আল্লাহ্ আমাকে উনার জন্যই প্রস্তুত করছিলেন। 


দ্বীনকে জানা তখন আমার জন্য একেবারেই নতুন। উনি জানুয়ারিতে উমরাহ শেষ করে আসেন। পরপরই একই মাহফিলে দু'জনই ছিলাম, যেটা বিয়ের পর জানতে পারি।(পুরুষ-মহিলা প্যান্ডেল অবশ্যই আলাদা), সেই মাহফিলে প্রথমবার নিক্বাব, হাত-পা মৌজা পরিধান করে পরিপূর্ণ পর্দা করি। অনেকদিনের চেষ্টা সফল হলো আলহামদুলিল্লাহ্। দারুণ অনুভূতি ছিল সেটা। উনি জেনারেল লাইনের হলেও দ্বীনের পথে অনেক বছর আগেই এসেছেন, দ্বীনের খেদমতে আছেন। বিয়ের জন্য পরিপূর্ণ শরয়ী পর্দা মানে এমন মেয়েই খুঁজছিলেন, আল্লাহর কি কুদরত, উনার নিয়তের বরকতে, বাইতুল্লাহর দু'আ কবুলের ফলে আমি নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করলাম। ঠিক সেই সময়টাতেই। 


অতঃপর আল্লাহর রহমত ও বারাকাহ তে, পারস্পরিক দু'আ, আত্মসংযম, তাক্বওয়া অবলম্বনের মাধ্যমে আমাদের পথ চলা শুরু ঠিক কয়েকমাস পরেই। উনার মায়াবী নূরানী চেহারার দিকে তাকালে এখনো আমি প্রথমবারের মতই প্রেমে পড়ে যাই! মাশা আল্লাহ্, বারাকাল্লাহু লাকা। 

উনার দু'আর গল্প যখন আমায় বলছিলেন, বলছিলেন যে কাবার গিলাফ ধরে কেঁদে কেঁদে দু'আ করেছেন; আমি বললাম, আমিই তাহলে সেই আহলিয়া যাকে খুঁজছিলেন! অতঃপর উনার সেই দুষ্টু মিষ্টি হাসি। আর আমি আবেগাপ্লুত....। 

#আমাদের_গল্প।

#Habibas_Ephemeris.


Comments

Popular Posts